বাংলাদেশের জাতীয় পোশাক দেশের সাংস্কৃতিক পরিচয় ও ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। এটি শুধু কাপড়ের টুকরো নয়, এটি বাংলাদেশের জনগণের সমৃদ্ধ ইতিহাস, রীতিনীতি ও ঐতিহ্যের প্রতীক। মহিলাদের জন্য জাতীয় পোশাক হল শাড়ি, পুরুষদের জন্য এটি পাঞ্জাবি বা শেরওয়ানি।

শাড়ি হল একটি লম্বা কাপড়ের টুকরো, সাধারণত প্রায় 5 থেকে 9 মিটার দৈর্ঘ্য, যা শরীরের চারপাশে আবৃত থাকে এবং একটি ব্লাউজ এবং পেটিকোট দিয়ে পরা হয়। শাড়িটি সাধারণত তুলা বা সিল্কের তৈরি হয় এবং জটিল নিদর্শন এবং সূচিকর্ম সহ বিভিন্ন রঙ এবং ডিজাইনে পাওয়া যায়। আঞ্চলিক এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের উপর নির্ভর করে শরীরের চারপাশে শাড়িটি যেভাবে মোড়ানো হয় তা পরিবর্তিত হয়। বাংলাদেশে, শাড়ি পরার সবচেয়ে সাধারণ উপায়টি “নকড়া” শৈলী হিসাবে পরিচিত, যেখানে কাপড়টি বাম কাঁধের উপর দিয়ে পেটিকোটের কোমরবন্ধে আটকানো হয়।
“চোলি” নামে পরিচিত ব্লাউজটি ধড়ের উপরে পরা হয় এবং সাধারণত ছোট হাতা এবং শাড়ির মতো একই উপাদান দিয়ে তৈরি। পেটিকোট, বা “ঘাগরা” শাড়ির নিচে পরা হয় এবং শাড়ি যেভাবে শরীরের চারপাশে মোড়ানো হয় তার ভিত্তি হিসেবে কাজ করে।
বাংলাদেশের পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হল পাঞ্জাবি বা শেরওয়ানি, যা ঢিলেঢালা প্যান্টের সাথে পরা হাঁটু-দৈর্ঘ্যের টিউনিক। পাঞ্জাবি সাধারণত তুলা বা সিল্কের তৈরি এবং সাদা, কালো এবং সবুজ সহ বিভিন্ন রঙে আসে। টিউনিকটি সাধারণত জটিল ডিজাইন এবং প্যাটার্নের সাথে সূচিকর্ম করা হয় এবং “শালওয়ার” নামে পরিচিত ঢিলেঢালা-ফিটিং প্যান্টের সাথে যুক্ত হয়। পাঞ্জাবি সাধারণত বিশেষ অনুষ্ঠানে পরা হয়, যেমন বিবাহ, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং উৎসবে।
উপসংহারে, বাংলাদেশের জাতীয় পোশাক দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এর ইতিহাস ও ঐতিহ্যের গভীরে প্রোথিত। শাড়ি হোক বা পাঞ্জাবি, প্রতিটি পোশাকই বাংলাদেশের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক এবং দেশের পরিচয়ের গর্বিত প্রতিনিধিত্ব করে।