Advertisements
Advertisements
Rate this post

ক্ষেপণাস্ত্র কি

নমস্কার প্রিয় পাঠক পাঠিকা বৃন্দ আশা করি আপনারা প্রত্যেকেই ভাল আছেন ও সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমরা আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের বিস্তারিতভাবে জানিয়ে দেব, ক্ষেপণাস্ত্র কি? বন্ধুরা আপনারা যদি “ক্ষেপণাস্ত্র কি” এই সম্পর্কে আগ্রহী হয়ে থাকেন এবং এই প্রশ্নের উত্তর জানতে অত্যন্ত ইচ্ছুক হয়ে থাকেন তাহলে অতি অবশ্যই আমাদের এই পোস্টটি একদম শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। এর মাধ্যমে আপনি আপনার প্রশ্নের যথাযথ সঠিক উত্তর পেতে সক্ষম হবেন বলে আমরা মনেকরি।

ক্ষেপণাস্ত্র কি

আধুনিক সমরাস্ত্রে ক্ষেপণাস্ত্র (ইংরেজি: missile) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ক্ষেপণাস্ত্র হচ্ছে স্ব-প্রণোদিত (সেলফ প্রপেলড) সিস্টেম। ক্ষেপণাস্ত্র চারটি অংশ নিয়ে গঠিত: টার্গেটিং অথবা গাইডেন্স, ফ্লাইট সিস্টেম, ইঞ্জিন এবং ওআর হেড। ক্ষেত্রবিশেষে নানারকম কাজের জন্য বিশেষভাবে তৈরিকৃত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়, যেমন: ভুমি থেকে ভুমি এবং আকাশ থেকে ভুমি, আকাশ থেকে আকাশ, ভুমি থেকে আকাশ অথবা অ্যান্টি-স্যাটেলাইট ক্ষেপণাস্ত্র।

ক্ষেপণাস্ত্রের নামকরণ এবং ব্যবহার

ক্ষেপণাস্ত্র শব্দটি এসেছে ল্যাটিন ক্রিয়াপদ মিটের অর্থাৎ “কিছু পাঠানো” থেকে। সমরাস্ত্রে কোনো কিছু নির্দিষ্ট লক্ষ্যে প্রক্ষেপন করাকে কয়েকভাবে সংজ্ঞায়িত করা যায়:

  • নির্দিষ্ট লক্ষ্যে ছোড়া শক্তিশালী গাইডেড গোলাবারুদকে ক্ষেপণাস্ত্র অথবা গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বলে।
  • শক্তিশালী কিন্তু গাইডেড নয় এরকম প্রক্ষেপন করা যায় এইরকম গোলাবারুদকে রকেট বলে।

ক্ষেপণাস্ত্রের প্রকারভেদ

ক্ষেপণাস্ত্রের নামকরণ ব্যবহার এবং কাজের উপর ভিত্তি করে বিজ্ঞানমহল বহু প্রকার ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করতে সম্ভব হয়েছে। আজ আমরা সেই ক্ষেপণাস্ত্র কত প্রকার অর্থাৎ ক্ষেপণাস্ত্রের প্রকারভেদের সাথে বিস্তারিতভাবে অবগত হয়ে নেব।

1: ব্যালিস্টিক

  • ক্রজ
  • আন্টি শিপ
  • আন্টি ট্যাঙ্ক

2: সারফেস টু এয়ার

  • আন্টি এয়ারক্রাফট
  • আন্টি ব্যালিস্টিক

3: এয়ার টু এয়ার

4: হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র

রাশিয়া নতুন এক ধরনের হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উদ্ভাবন করার দাবি করেছে যার নাম আভনগার্ড হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি চলে শব্দের চেয়ে বিশগুণ বেশি গতিতে। ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তে রাশিয়া পরীক্ষামূলকভাবে এই নতুন ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালায়। এই পরীক্ষায় ক্ষেপনাস্ত্রটি উরাল পর্বতমালা থেকে উৎক্ষেপিত হয়ে ছয় হাজার কিলোমিটার দূরে দূরপ্রাচ্যের কানচাকায় গিয়ে আঘাত হানে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপনের পর খুব দ্রুত উপরে উঠে আবার দ্রুত নেমে আসে। এরপর আনুভূমিকভাবে বায়ুমন্ডলের মধ্যেই চলতে থাকে এবং চলমান অবস্থাতেও গতিপথ পরিবর্তন করা যায়, যা ব্যালিস্টিক মিসাইল থেকে ভিন্ন।

তো বন্ধুরা আমরা আশা করবো আপনারা ক্ষেপণাস্ত্র কি এ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে সক্ষম হয়েছেন। এছাড়াও আপনার যদি এই ধরনের অতি প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের একেবারে সঠিক উত্তর যথাযথভাবে পেতে চান তাহলে অতি অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট এর সাথে সদা সর্বদা জুড়ে থাকবেন। 🙏

ক্ষেপণাস্ত্র অর্থ কি?

গাইডেড গোলাবারুদকে ক্ষেপণাস্ত্র অথবা গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র বলে।

হাইপারসোনিক মিসাইল কি?

হাইপারসনিক অস্ত্রের দুটি প্রধান ধরন হল হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল এবং হাইপারসনিক গ্লাইড যান । হাইপারসনিক অস্ত্র, সংজ্ঞা অনুসারে, শব্দের গতির পাঁচ বা তার বেশি গুণ ভ্রমণ করে। হাইপারসনিক ক্রুজ মিসাইল, যা স্ক্র্যামজেট দ্বারা চালিত, ১,০০,০০০ feet নীচে সীমাবদ্ধ ; হাইপারসনিক গ্লাইড যানবাহন এর চেয়েও উচ্চতর ভ্রমণ করতে পারে।

ভারতের তৈরি প্রথম মিসাইল কোনটি?

পৃথ্বী ছিল ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যা ইন্টিগ্রেটেড গাইডেড মিসাইল ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (IGMDP) দ্বারা উৎপাদিত হয়েছিল।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *