রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী:-রংপুর এক্সপ্রেস বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় আন্তঃনগর ট্রেন, যা বাংলাদেশ রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত হয়। এটি বাংলাদেশের রাজধানী শহর ঢাকা এবং দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের একটি প্রধান শহর রংপুরের মধ্যে চলে। ট্রেনটি স্থানীয় এবং পর্যটক উভয়ের জন্যই একটি আরামদায়ক এবং সুবিধাজনক পরিবহণের ব্যবস্থা করে যারা বাংলাদেশের সুন্দর গ্রামাঞ্চল ঘুরে দেখতে চান।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
ট্রেন নম্বর | রুট | সময় শুরু | আগমনের সময় |
771 | Dhakaাকা থেকে রংপুর | 09: 10 এএম | 07:05 পিএম |
772 | রংপুর থেকে ঢাকা | 08:10 অপরাহ্ন | 06: 10 |
ট্রেন নম্বর | ট্রেনের রুট | ছুটির দিন |
771 | Dhakaাকা থেকে রংপুর | সোমবার |
772 | রংপুর থেকে .াকা | রবিবার |
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট মূল্য
টিকিট ক্লাস | ভাড়া (প্রাপ্ত বয়স্ক) | ভাড়া (শিশু) |
শোভন চেয়ার | 505 টাকা | 335 টি কে |
স্নিগ্ধা | 966 টি কে | 639 টি কে |
এসি বার্থ | 1162 টি কে | 771 টি কে |
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ঢাকা ও রংপুরের মধ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীদের চাহিদা মেটাতে তৈরি করা হয়েছে। ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল ৯টায় ছাড়ে এবং রংপুরে পৌঁছায় বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিনই ট্রেন চলাচল করে।
রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রায় প্রায় 7 ঘন্টা 20 মিনিট সময় লাগে, যা প্রায় 317 কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে। ট্রেনটি রংপুরে চূড়ান্ত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগে জয়দেবপুর, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ এবং বগুড়া সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও শহরের মধ্য দিয়ে যায়।
রংপুর এক্সপ্রেসের মোট ১১টি কোচ রয়েছে যার মধ্যে ২টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচ, ৭টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয় এমন কোচ এবং ২টি পাওয়ার কার রয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে আরামদায়ক আসন, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ইলেকট্রনিক ডিভাইসের চার্জিং সুবিধা রয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয় এমন কোচগুলিও আরামদায়ক, যাত্রার সময় যাত্রীদের শীতল রাখার জন্য কুশনযুক্ত আসন এবং পাখা রয়েছে।
রংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রীরা বোর্ডে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও সেবা উপভোগ করতে পারবেন। এখানে একটি ডাইনিং কার রয়েছে যা সুস্বাদু খাবার এবং স্ন্যাকস পরিবেশন করে, সেইসাথে একটি প্যান্ট্রি কার যা বিভিন্ন ধরণের খাবার এবং পানীয় বিক্রি করে। ট্রেনে পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর টয়লেটও রয়েছে।
রংপুর এক্সপ্রেসের টিকিট বুকিং অনলাইনে বা বাংলাদেশের যেকোনো রেলস্টেশনে করা যেতে পারে। একটি টিকিটের মূল্য ভ্রমণের শ্রেণির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত আসনগুলি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয় এমন আসনের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের রেলওয়ে নেটওয়ার্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রধান শহর রংপুরের সাথে রাজধানী ঢাকাকে সংযুক্ত করে। ট্রেনটি তার সময়ানুবর্তিতা, নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য পরিচিত, এটি যাত্রী, ছাত্র এবং পর্যটকদের জন্য একটি জনপ্রিয় পছন্দ করে তুলেছে যারা দুটি শহরের মধ্যে ভ্রমণ করতে চায়।
রংপুর এক্সপ্রেসে ভ্রমণের অন্যতম প্রধান সুবিধা হল রুট বরাবর সুন্দর দৃশ্য। ট্রেনটি মনোরম গ্রামাঞ্চল, সবুজ মাঠ এবং ছোট শহর ও গ্রামের মধ্য দিয়ে যায়, যা যাত্রীদের গ্রামীণ বাংলাদেশে বসবাসকারী মানুষের দৈনন্দিন জীবনের একটি আভাস দেয়। শীতের মাসগুলিতে ভ্রমণটি বিশেষভাবে উপভোগ্য হতে পারে যখন আবহাওয়া শীতল হয় এবং মাঠ ফসলে ভরা থাকে।
যারা ঢাকা ও রংপুরের মধ্যে সড়কের যানজট ও দূষণ এড়াতে চান তাদের জন্যও রংপুর এক্সপ্রেস একটি ভালো বিকল্প। ট্রেনটি প্রশস্ত কোচ এবং একটি মসৃণ যাত্রা সহ একটি আরামদায়ক এবং নিরাপদ বিকল্প প্রদান করে। ট্রেন তাদের গন্তব্যে নিয়ে যাওয়ার সময় যাত্রীরা তাদের আসনে বিশ্রাম নিতে, একটি বই পড়তে, গান শুনতে বা সহযাত্রীদের সাথে চ্যাট করতে পারে।
রংপুর এক্সপ্রেসের জন্য ট্রেনের সময়সূচী যাত্রীদের চাহিদা পূরণের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৯:০০ টায় ছাড়ার সময়। এটি যাত্রীদের সন্ধ্যার প্রথম দিকে রংপুরে পৌঁছানোর অনুমতি দেয়, তাদের বসতি স্থাপন এবং শহরটি ঘুরে দেখার জন্য যথেষ্ট সময় দেয়। ট্রেনটি প্রতিদিনের ভিত্তিতেও চলাচল করে, শুক্রবার ছাড়া, যা ট্রেনের জন্য বিশ্রামের দিন।
রংপুর এক্সপ্রেসে ভ্রমণের আরেকটি সুবিধা হল বোর্ডে উপলব্ধ সুযোগ-সুবিধা এবং পরিষেবার পরিসীমা। ডাইনিং কারটি বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করে, যার মধ্যে স্থানীয় বিশেষত্ব যেমন বিরিয়ানি এবং ফিশ কারি, সেইসাথে স্ন্যাকস এবং পানীয় রয়েছে। প্যান্ট্রি কারটি চা, কফি এবং কোমল পানীয় সহ বিভিন্ন ধরণের খাবার এবং পানীয়ের সাথে ভালভাবে মজুত।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কোচে ভ্রমণকারী যাত্রীরা প্রচুর লেগরুম সহ পৃথক আসনের আরাম উপভোগ করতে পারে, যেখানে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত নয় এমন কোচে তাদের শীতল রাখার জন্য কুশনযুক্ত আসন এবং ফ্যান রয়েছে। ট্রেনটিতে পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর টয়লেটও রয়েছে, যা নিয়মিতভাবে জাহাজের কর্মীদের দ্বারা পরিষ্কার করা হয়।
রংপুর এক্সপ্রেসের টিকিট বুকিং অনলাইনে বা বাংলাদেশের যেকোনো রেলস্টেশনে করা যেতে পারে। যাত্রীরা এসি ফার্স্ট ক্লাস, এসি চেয়ার, শোভন চেয়ার, শোভন এবং সুলোভ সহ বিভিন্ন ক্লাস থেকে বেছে নিতে পারেন। একটি টিকিটের মূল্য ভ্রমণের শ্রেণির উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হয়, এসি ফার্স্ট ক্লাস সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং সুলোভ সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল।
সামগ্রিকভাবে, রংপুর এক্সপ্রেস ঢাকা এবং রংপুরের মধ্যে ভ্রমণকারীদের জন্য একটি সুবিধাজনক এবং আরামদায়ক পরিবহন ব্যবস্থা। এর নিয়মিত সময়সূচী, আরামদায়ক কোচ এবং সুযোগ-সুবিধার পরিসর সহ, এটি স্থানীয় এবং পর্যটক উভয়ের জন্যই একটি জনপ্রিয় পছন্দ। আপনি যদি বাংলাদেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তবে একটি স্মরণীয় এবং আনন্দদায়ক ভ্রমণের জন্য রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি নেওয়ার কথা বিবেচনা করুন।
উপসংহারে, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী বাংলাদেশের ঢাকা থেকে রংপুরের মধ্যে ভ্রমণের জন্য একটি সুবিধাজনক এবং আরামদায়ক উপায় সরবরাহ করে। এর সুন্দর দৃশ্যাবলী, আরামদায়ক কোচ এবং সুযোগ-সুবিধার পরিসর সহ, ট্রেনটি স্থানীয় এবং পর্যটক উভয়ের জন্যই একটি জনপ্রিয় পছন্দ। আপনি যদি বাংলাদেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা করে থাকেন, তাহলে একটি স্মরণীয় এবং আনন্দদায়ক ভ্রমণের জন্য রংপুর এক্সপ্রেসে ভ্রমণের কথা বিবেচনা করতে ভুলবেন না।
এখানে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন সম্পর্কে প্রায়শই জিজ্ঞাসিত কিছু প্রশ্ন রয়েছে:
আমি কিভাবে রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিট বুক করব?
আপনি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের জন্য অনলাইনে বা বাংলাদেশের যেকোনো রেলস্টেশনে টিকিট বুক করতে পারেন।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে কোন শ্রেণীর ভ্রমণ পাওয়া যায়?
রংপুর এক্সপ্রেস এসি ফার্স্ট ক্লাস, এসি চেয়ার, শোভন চেয়ার, শোভন এবং সুলভ সহ বিভিন্ন ক্লাস অফার করে।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী কি?
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল ৯টায় ছেড়ে বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে রংপুরে পৌঁছায়। শুক্রবার ছাড়া সপ্তাহের প্রতিদিনই ট্রেন চলাচল করে।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রার সময় কত?
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণের সময় প্রায় 7 ঘন্টা 20 মিনিট।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে কি কি সুবিধা পাওয়া যায়?
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রীরা একটি ডাইনিং কার, একটি প্যান্ট্রি কার, আরামদায়ক আসন, এয়ার কন্ডিশনার (কিছু ক্লাসে), এবং পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর টয়লেট সহ বিভিন্ন সুবিধা উপভোগ করতে পারে।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে কি খাবার পাওয়া যায়?
হ্যাঁ, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে খাবার ও পানীয় পাওয়া যায়। ডাইনিং কারটি খাবার এবং স্ন্যাকস পরিবেশন করে, যখন প্যান্ট্রি কার বিভিন্ন ধরণের খাবার এবং পানীয় বিক্রি করে।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিটের দাম কত?
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে টিকিটের মূল্য ভ্রমণের শ্রেণির উপর নির্ভর করে। এসি ফার্স্ট ক্লাস সবচেয়ে ব্যয়বহুল, অন্যদিকে সুলোভ সবচেয়ে কম ব্যয়বহুল।
রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেন কি নিরাপদ?
হ্যাঁ, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে নিরাপদ এবং নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয়, যার নিরাপত্তার ভালো রেকর্ড রয়েছে। ট্রেনটি বাংলাদেশ রেলওয়ে দ্বারা পরিচালিত হয়, যা যাত্রীদের নিরাপত্তা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য দায়ী।
আমি কি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে লাগেজ আনতে পারি?
হ্যাঁ, রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রীদের লাগেজ আনতে দেওয়া হয়, যদিও লাগেজের পরিমাণ এবং আকারের সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নির্দিষ্ট বিবরণের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে চেক করার সুপারিশ করা হয়।
আমি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করতে না পারলে কি আমার টিকিটের টাকা ফেরত পেতে পারি?
হ্যাঁ, আপনি রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনে ভ্রমণ করতে না পারলে আপনার টিকিটের জন্য টাকা ফেরত পেতে পারেন। যাইহোক, ফেরতের পরিমাণ বাতিলের সময় এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করতে পারে। নির্দিষ্ট বিবরণের জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে চেক করার সুপারিশ করা হয়।