আসসালামুয়ালিকুম বন্ধুরা আপনারা কেমন আছেন আশা করছি আপনারা প্রত্যেকেই ভাল আছেন অসুস্থ আছেন। বন্ধুরা আজ আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের জানিয়ে দেবো লালবাগ কেল্লার খোলা এবং বন্ধের সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য।
বন্ধুরা আমাদের প্রত্যেকেরই জানা যে লালবাগ কেল্লা হল আমাদের বাংলাদেশের লালবাগে অবস্থিত অতি প্রাচীন এক ঐতিহাসিক নিদর্শন। লালবাগ কেল্লাটি তৈরি করেছিলেন তৎকালীন মুঘল সম্রাট আজম শাহ, ১৬৭৮ সালে। যদিও আজব খুব কম মুঘল সম্রাট ছিলেন। তবুও তার অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি এই অসাধারণ ঐতিহাসিক নিদর্শন এর কাজটি শুরু করেছিলেন।
লালবাগ কেল্লাটি তৈরিতে লেগেছে কষ্টিপাথর মার্বেল পাথর এবং বিবিধ রকমের রংবেরঙের টালি। প্রায় প্রত্যেকদিন হাজারেরও বেশি দেশ-বিদেশের দর্শনার্থী এই অসাধারণ ঐতিহাসিক নিদর্শন ঘুরে দেখতে আসেন আমাদের ঢাকা লালবাগ এলাকার এই দুর্গে। লালবাগ কেল্লার নামকরণ হয়েছে এই এলাকার নামের উপর ভিত্তি করে। তবে এই কেল্লা তৈরীর প্রথমের দিকে এর নাম ছিল একেবারে ভিন্ন এই এলাকার সাথে কোন রকম মিলি ছিল না। একদম শুরুর দিকে এই কেলার নাম ছিল “কেল্লা আওরঙ্গবাদ”।
এই ভবনটি মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খানের প্রিয় কন্যা পরীবিবির সমাধি নামে পরিচিত। বাংলাদেশে এই একটি মাত্র ইমারতে মার্বেল পাথর, কষ্টি পাথর ও বিভিন্ন রং এর ফুল-পাতা সুশোভিত চাকচিক্যময় টালির সাহায্যে অভ্যন্তরীণ নয়টি কক্ষ অলংকৃত করা হয়েছে। কক্ষগুলির ছাদ কষ্টি পাথরে তৈরি। মূল সমাধি সৌধের কেন্দ্রীয় কক্ষের উপরের কৃত্রিম গম্বুজটি তামার পাত দিয়ে আচ্ছাদিত। ২০.২ মিটার বর্গাকৃতির এই সমাধিটি ১৬৮৮ খ্রিস্টাব্দের পুর্বে নির্মিত। তবে এখানে পরীবিবির মরদেহ বর্তমানে নেই বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।
তো বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা লালবাগ কেল্লার পিছনে নিহিত ঐতিহাসিক কাহিনী এবং এই কেল্লার নামকরণ সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানলাম। এখন বন্ধুরা আমরা এই লালবাগ ঐতিহাসিক নিদর্শন এর খোলা এবং বন্ধের সময়সূচি নিয়ে আলোচনা করব।
গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত কেল্লা খোলা থাকে। মাঝখানে দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত আধ ঘণ্টার জন্যে বন্ধ থাকে। আর শীতকালে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে। শীতকালেও দুপুর ১টা থেকে ১.৩০ পর্যন্ত বন্ধ থাকে। আর সবসময়ের জন্যেই শুক্রবারে জুম্মার নামাযের জন্যে সাড়ে বারোটা থেকে তিনটা পর্যন্ত বন্ধ থাকে।
বিশেষ বিজ্ঞপ্তি: রবিবার সহ সকল সরকারি ছুটির দিন লালবাগ কেল্লা বন্ধ থাকে।
লালবাগ কেল্লার দরজার ঠিক ডান পাশেই রয়েছে টিকেট কাউন্টার, জনপ্রতি টিকেট এর দাম দশ টাকা করে, তবে পাঁচ বছরের কম কোন বাচ্চার জন্যে টিকেট এর দরকার পড়েনা। যেকোনো বিদেশি দর্শনার্থীর জন্যে টিকেট মূল্য একশত টাকা করে।
তো বন্ধুরা আপনারা উপরোক্ত পোষ্টের মাধ্যমে আপনাদের লালবাগ কেল্লার খোলা এবং বন্ধের সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে দিয়েছি। আমরা আশা করব আপনারা উপরের পোস্টটি পড়ে উপকৃত হয়েছেন। এবং লালবাগ কেল্লার খোলা এবং বন্ধের সময়সূচী সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে পেরেছেন।
লালবাগ কেল্লার জাদুঘরে আর কি কি নিদর্শন আমরা দেখতে পাবো?
জাদুঘরটিতে দেখার মতো অনেক কিছুই রয়েছে। মুঘল আমলের বিভিন্ন হাতে আঁকা ছবির দেখা মিলবে সেখানে, যেগুলো দেখলে যে কেউ মুগ্ধ না হয়ে পারবে না। শায়েস্তা খাঁ এর ব্যবহার্য নানান জিনিসপত্র সেখানে সযত্নে রয়েছে। তাছাড়া তৎকালীন সময়ের বিভিন্ন যুদ্ধাস্ত্র, পোশাক, সেসময়কার প্রচলিত মুদ্রা ইত্যাদিও রয়েছে।
লালবাগ কেল্লায় ঢুকতে গেলে টিকিটের মূল্য কত?
জনপ্রতি টিকেট এর দাম দশ টাকা করে, তবে পাঁচ বছরের কম কোন বাচ্চার জন্যে টিকেট এর দরকার পড়েনা। যেকোনো বিদেশি দর্শনার্থীর জন্যে টিকেট মূল্য একশত টাকা করে।
লালবাগ কেল্লা চত্বরে প্রধান তিনটি স্থাপনার নাম কি?
লালবাগ কেল্লা চত্বরে যে তিনটি প্রধান স্থাপনা রয়েছে সেগুলি হল
১। কেন্দ্রস্থলের দরবার হল ও হাম্মাম খানা ২। পরীবিবির সমাধি ৩। উত্তর পশ্চিমাংশের শাহী মসজিদ
লালবাগ কেল্লা কোন দিন বন্ধ থাকে?
রবিবার সহ সকল সরকারি ছুটির দিন লালবাগ কেল্লা বন্ধ থাকে।