Advertisements

বঙ্গবন্ধুর সন্তান কত জন

Advertisements
5/5 - (1 vote)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যিনি বাংলাদেশের জাতির পিতা হিসেবেও পরিচিত, একজন রাজনীতিবিদ এবং রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন যিনি পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধুর সন্তান কত জন

তিনি একজন দূরদর্শী নেতা ছিলেন যিনি তার সমগ্র জীবন বাংলাদেশের মানুষের জন্য উৎসর্গ করেছিলেন এবং তার উত্তরাধিকার আজও বেঁচে আছে। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত জীবনের সবচেয়ে পরিচিত দিকগুলোর একটি হলো তার বিশাল পরিবার। এই নিবন্ধে, আমরা বঙ্গবন্ধুর সন্তানের সংখ্যা এবং দেশে তাদের অবদান অন্বেষণ করব।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মোট পাঁচ সন্তান ছিল- দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। তার প্রথম সন্তান শেখ কামাল ১৯৪৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন, তারপরে শেখ জামাল ১৯৫৪ সালে, শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালে, রেহানা ১৯৫৫ সালে এবং অবশেষে শেখ রাসেল ১৯৬২ সালে। এই প্রতিটি শিশুই বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলেছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় ও পরে।

আরো পড়ুন :বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উক্তি

শেখ কামাল ছিলেন একজন দক্ষ ক্রীড়াবিদ এবং একজন সাংস্কৃতিক কর্মী। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম সফল ক্রীড়া চক্র আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন, একটি জাতীয় ক্রীড়া প্রতিষ্ঠান যা বছরের পর বছর ধরে অনেক বিশ্বমানের ক্রীড়াবিদ তৈরি করেছে। দুর্ভাগ্যবশত, শেখ কামাল 1975 সালের সামরিক অভ্যুত্থানের সময় নিহত হন যা তার পিতার সরকারকে উৎখাত করেছিল।

বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র শেখ জামালও খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ছিলেন এবং দেশে খেলাধুলার প্রসারে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। 1975 সালের অভ্যুত্থানের সময় তিনি তার বাবা এবং বড় ভাই শেখ কামালের সাথে নিহত হন।

বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী। তিনি কয়েক দশক ধরে দেশের একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটভূমি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তিনি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং সামাজিক উন্নয়নের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছেন এবং তার সরকার শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং অবকাঠামোর মতো ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি সফল উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছে।

বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় কন্যা রেহানা অনেকাংশেই জনগণের দৃষ্টির বাইরে থেকে গেছেন। তিনি জনহিতকর কর্মকাণ্ডে নিজেকে উৎসর্গ করেছেন এবং বাংলাদেশে সুবিধাবঞ্চিতদের সাহায্য করার জন্য বেশ কয়েকটি সংস্থা স্থাপন করেছেন।

অবশেষে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ সন্তান শেখ রাসেল ১৯৭৫ সালের অভ্যুত্থানে পিতা ও বড় ভাইদের পাশাপাশি নিহত হন। সে সময় তার বয়স ছিল মাত্র 11 বছর।

বঙ্গবন্ধু নামে পরিচিত শেখ মুজিবুর রহমান একজন ক্যারিশম্যাটিক নেতা এবং বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং 1971 সালে দেশকে পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতার দিকে নিয়ে যান। বঙ্গবন্ধুর একটি বৃহৎ পরিবার ছিল এবং তিনি অনেক সন্তানের আশীর্বাদ করেছিলেন যারা তার উত্তরাধিকার অব্যাহত রেখেছেন এবং বিভিন্ন উপায়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন।

বঙ্গবন্ধুর মোট পাঁচ সন্তান ছিল, দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। তার জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এবং 2009 সাল থেকে এই পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দেশকে প্রগতি ও উন্নয়নের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রচার করছেন এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করছেন। তিনি অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক জোরদার করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন এবং বহু দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

তার দ্বিতীয় কন্যা শেখ রেহানা একজন বিশিষ্ট সমাজকর্মী এবং বহু বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়ভাবে জড়িত এবং সমাজে তার অবদানের জন্য স্বীকৃত হয়েছেন।

১৯৭৫ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানের সময় তার দুই ছেলে শেখ কামাল এবং শেখ জামালকে তাদের মা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের সাথে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। মৃত্যুর সময় তাদের বয়স ছিল যথাক্রমে ২৭ এবং ২২ বছর। তারা খেলাধুলার প্রতি তাদের অনুরাগের জন্য পরিচিত ছিল এবং বাংলাদেশে খেলাধুলার প্রচারে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিল। তাদের স্মরণে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব নির্মিত হয়।

অভ্যুত্থানের সময় বিদেশে থাকায় বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানাও হামলা থেকে বেঁচে যান। তিনি বাংলাদেশে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের প্রচারে সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন এবং দেশের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন।

বাংলাদেশের উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর সন্তানেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং তাদের অবদান ব্যাপকভাবে স্বীকৃত। তারা তাদের পিতার উত্তরাধিকার অব্যাহত রেখেছে এবং বাংলাদেশকে এর নাগরিকদের জন্য একটি উন্নত স্থান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কাজ করেছে।

উপসংহারে বলা যায়, বঙ্গবন্ধুর পাঁচ সন্তান, দুই ছেলে এবং তিন মেয়ে, যারা তার উত্তরাধিকার অব্যাহত রেখেছে এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। তারা গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সামাজিক কল্যাণ প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে এবং তাদের অবদান ব্যাপকভাবে স্বীকৃত হয়েছে। তার দুই পুত্র ও স্ত্রীর মর্মান্তিক ক্ষতি সত্ত্বেও, বঙ্গবন্ধুর সন্তানরা তার স্বপ্নকে এগিয়ে নিয়ে গেছে এবং বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে।

Related Posts

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *